Summary
এখানে একজন শিক্ষার্থীর কলেজে যাওয়ার প্রক্রিয়ার ধাপগুলো বর্ণনা করা হয়েছে। ধাপগুলো হলো:
- সাইকেল ঠিকঠাক আছে?
- হ্যাঁ: ৪নং ধাপে যাও।
- না: পরবর্তী ধাপে যাও।
- অভিভাবকের কাছ থেকে রিকশাভাড়ার টাকা নাও।
- রিকশা ভাড়া করে কলেজে যাও, তারপর ৫ম ধাপে যাও।
- সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাও।
- কলেজে পৌঁছে গিয়েছ।
এই ধাপগুলোকে ওই শিক্ষার্থীর কলেজে যাওয়ার অ্যালগরিদম বলা হয়। প্রতিটি ধাপের কাজ সম্পন্ন হলে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধাপ বাদ দিয়ে অন্য ধাপে যাওয়া সম্ভব।
ধরা যাক, একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন সকালে তার বাইসাইকেল চালিয়ে কলেজে যায়। তবে বাইসাইকেল যদি কোনো কারণে নষ্ট থাকে, তাহলে সে রিকশায় চড়ে কলেজে যায়। কলেজে যাওয়ার ধাপগুলোকে এভাবে লেখা যায়—
১) সাইকেল ঠিকঠাক আছে? উত্তর ‘হ্যাঁ' হলে ৪নং ধাপে যাও, উত্তর ‘না’ হলে পরের ধাপে যাও ।
২) অভিভাবকের কাছ থেকে রিকশাভাড়ার টাকা নাও ।
৩) রিকশা ভাড়া করে কলেজে যাও, এরপরে পাঁচ নম্বর ধাপে যাও ।
৪) সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাও।
৫) কলেজে পৌঁছে গিয়েছ।
উপরের ধাপগুলোকে আমরা বলতে পারি ওই শিক্ষার্থীর কলেজে যাওয়ার অ্যালগরিদম। অ্যালগরিদম লেখার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন নেই। ধাপগুলোর ক্রম সঠিক হতে হবে যেন ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করলে সমস্যার সমাধান হয়। একটি ধাপের কাজ শেষ হলে তার পরের ধাপের কাজটি করতে হবে। তবে, কোনো কারণে যদি ঠিক পরের ধাপটি বাদ দিয়ে একটি বিশেষ ধাপের কাজ করতে চাই, সেক্ষেত্রে সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে। যেমন— উপরের উদাহরণে আমরা তৃতীয় ধাপের শেষে বলে দিয়েছি, পাঁচ নম্বর ধাপে যেতে। এক্ষেত্রে চার নম্বর ধাপের কাজটি আর করা হবে না। আবার, এক নম্বর ধাপে সাইকেল যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে সরাসরি চার নম্বর ধাপে চলে গিয়েছি, এক্ষেত্রে দুই এবং তিন নম্বর ধাপের কাজ আর করা হবে না ।
Read more
